Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

ঘটনাপুঞ্জ

দুর্গাপুর বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজশাহী বিভাগের রাজশাহী জেলার অর্ন্তগত একটি
উপজেলা। রাজশাহী জেলা হতে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দুরত্বে উত্তর-পূর্ব দিকে অবস্থিত । দুর্গাপুর 
উপজেলা ০৭ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভা সমন্বয়ে গঠিত যার আয়তন ১৯৫.০৩ বর্গ কিঃ। দুর্গাপুর
উপজেলায় মুসলিম, হিন্দু, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রায় এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার
লোকের বসবাস।  বর্তমানে দুর্গাপুর থানাটি দুর্গাপুর উপজেলার দুর্গাপুর পৌরসভায় অবস্থিত ।
দুর্গাপুর উপজেলার উত্তরে বাঘমারা এবং মোহনপুর উপজেলা, দক্ষিণে চারঘাট উপজেলা , পূর্বে পুঁঠিয়া
এবং পশ্চিমে পবা  উপজেলা।
এ উপজেলায় জলাশয় আর বিলে পরিপূর্ন থাকায় মাছে ভাতে বাঙ্গালী হিসেবে সুনাম রয়েছে। ধর্মীয় ও
রাজনৈতিক সম্প্রীতি বজায় থাকার কারণে দূর্গাপুরের সামাজিক প্রেক্ষাপট প্রশংসনীয়।
কুমিল্লা মডেলের ‘ভিশন’ ছিল যে, যতক্ষণ গ্রামগুলো তাদের নিজেদের মধ্যে নেতৃত্ব সৃষ্টি করতে না
পারছে, ততক্ষণ গ্রামীণ সমাজের ভেতর থেকে পরিবর্তনের কোন তাগিদ সৃষ্টি হবে না। সে লক্ষ্যেই
কুমিল্লা মডেলের একটি অন্তর্নিহিত ভিশন ছিল গ্রাম পর্যায়ে নেতৃত্ব সৃষ্টি করা। গ্রাম ভিত্তিক
সমবায় সমিতি গঠনের মাধ্যমেই সেটা করা সম্ভব হয়েছে যা আজ সর্বস্বীকৃত। কুমিল্লা মডেলের অঙ্গ
চারটি হলো-
1. থানা উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিডিসি)
2. পল্লী পূর্ত কর্মসূচি
3. থানা সেচ কর্মসূচি ও
4. দ্বি-স্তর সমবায় কাঠামো।
১৯৭০ সন পর্যন্ত পল্লী উন্নয়নে কুমিল্লা মডেল কুমিল্লা জেলার ২০টি থানা এবং জেলার বাইরে ৩টি
থানায় Piloting করা হয়। ১৯৭১ সনে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জনের পর
যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গঠনের লক্ষ্যে কুমিল্লা মডেলের দ্বি-স্তর সমবায় কাঠামোকে জাতীয় পর্যায়ে
পল্লী উন্নয়ন কর্মসূচি হিসেবে হাতে নেয়া হয়। সেই থেকেই সমন্বিত পল্লী উন্নয়ন কর্মসূচি
অর্থাৎ আইআরডিপি’র যাত্রা শুরু।
 
১৯৭১ সনে যাত্রা শুরুর পর এর সফলতা লক্ষ্যে করে পল্লী উন্নয়ন কর্মকান্ড'কে আরও গতিশীল
করার জন্য ১৯৭৩ সনে আইআরডিপি’কে ‘বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন সংস্থা’ নামে সরকারের একটি
উন্নয়ন সংস্থায় রূপান্তর করা হয়। কিন্তু কুমিল্লা মডেলের একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে এবং আরও
অধিকতর Piloting না করে কর্মসূচিটিকে সংস্থায় রূপান্তর করা সমীচীন হবে না মর্মে দাতাদের
পরামর্শের ভিত্তিতে ১০ মাস পর বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন সংস্থা’র বিলুপ্তি ঘটিয়ে পুনরায়
আইআরডিপি পুনর্বহাল করা হয়।
১৯৭৯ সাল থেকে আইআরডিপি অত্র উপজেলায় কাজ শুরু করে । পরবর্তীতে ১৯৮২ সালে বাংলাদেশ
পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) পল্লী উন্নয়ন ও দারিদ্র্য হ্রাস” এর কাজে নিয়োজিত একটি বৃহৎ
সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসাবে কাজ শুরু করে। অত্র উপজেলায় বর্তমানে চলমান ( ইউসিসিএ ভুক্ত মূলকর্মসূচি,
মহিলা উন্নয়ন অনুবিভাগ (মউ), সমন্বিত দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচি (সদাবিক), পল্লী প্রগতি কর্মসুচি, বীঁর

মুক্তিযোদ্ধ ও তাঁদের পোষ্যদের আত্মকর্মসংস্থান সুষ্টি কর্মসুচি, অপ্রধান শস্য উৎপাদন কর্মসূচি,
পিআরডিপি-৩ কর্মসুচি) ০৭ টি কর্মসূচি রয়েছে। যার মধ্যে ১৫৭ টি নিবন্ধিত সমবায় সমিতি এবং ২৮ টি দল
রয়েছে। বর্তমানে এসব সমিতি/দল সর্বমোট ১০৮৭০ জন সুফলভোগী রয়েছে । যাদের সর্বমোট মূলধন রয়েছে
১৪৫.৬৯ লক্ষ টাকা। এযাবৎ ঋণ বিতরণ করা হয়েছে ৩৩২১.৩২ লক্ষ টাকা এবং আদায় হয়েছে ৩০৩০.৯০